Showing posts with label Slider. Show all posts
Showing posts with label Slider. Show all posts
স্টিফেন হকিং এর জীবনী,জন্ম,মৃত্যু,শিক্ষা,স্ত্রী ও শিশু,আবিষ্কার,পুরস্কার,রোগ এবং উক্তি | ২০১৮
বিজ্ঞান সর্ম্পকে টুকটাক ধারণা রাখেন এমন কাউকে যদি কয়েকজন পর্দাথবিজ্ঞানীর নাম বলতে বলা হয় স্টিফেন হকিং এর নাম তার মধ্যে থাকবেই। আমি সেই বিজ্ঞানীর কথা বলছি যিনি লিখেছিলেন "A Brief History of Time " সকল শারীরিক বাধা উপেক্ষা করেও যার মস্তিষ্ক করে যাচ্ছে নানা বৈজ্ঞানিক চিন্তা ভাবনা। আসুন জেনে নেই তার সর্ম্পকে অজানা কিছু তথ্য।
(১) জন্মঃ তাঁর জন্ম হয় ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। যা গ্যালিলিও এর জন্মের ঠিক ৩০০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন।
(২) স্কুলে ছিলেন খারাপ ছাত্রঃ যখন তার বয়স ছিল নয় বছর তখন তিনি ছিলেন ক্লাসের সর্বশেষ মেধাক্রমের ছাত্র অর্থাৎ পেছনের দিক থেকে প্রথম। (সূত্রঃ লার্সেন)
(৩) ডাক নাম ছিলো আইনস্টাইনঃ যদিও পরীক্ষায় কম পেতেন তবুও তাঁর বুদ্ধির তীব্রতায় শিক্ষকদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। বিজ্ঞান সর্ম্পকে আগ্রহের কারণে শিক্ষক আর বন্ধুরা আদর করে ডাকতেন আইনস্টাইন।
(৪) অক্সফোর্ডে চান্স পাওয়াঃ বাবার ইচ্ছে ছিলো ছেলে ডাক্তারি পড়বে নয়তো অক্সফোর্ডে পড়বে অথচ টাকা ছিলো না। স্টিফেন হকিং তাই অংশগ্রহণ করলেন স্কলারশিপ পরীক্ষায় এবং টিকেও গেলেন সফলতার স্বাক্ষর রেখে।
(৫) বেছে নিলেন কসমোলোজিঃ ছোটোবেলা থেকে প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো গণিতে অথচ অক্সফোর্ডে এসে বেছে নিলেন ফিজিক্সের একটি অপ্রচলিত শাখা কসমোলজি।
(৬) ছিলেন রেসিং বোট টিমের সদস্যঃ আত্মজীবনী লেখক ক্রিস্টিন লার্সেন এর ভাষ্যমতে স্টিফেন হকিং ভার্সিটি জীবনের প্রথম দিকে ছিলেন অনেক বেশি নিঃসঙ্গ। তাই হয়তো একাকীত্ব দূর করতেই যোগ দিয়েছিলেন কলেজের বোট রেসিং টিমে। সবচেয়ে মজার কথাটি হলো তাঁর দায়িত্ব ছিল রেসের সময় নৌকার হাল ধরে রাখা এবং এই কাজটি তিনি এতো সফলতার সাথে করেছিলেন যে অল্পকিছুদিনেই হয়ে উঠেছিলেন পুরো অক্সর্ফোডে বিপুল জনপ্রিয়।সপ্তাহে ছয়দিন সন্ধ্যায় প্র্যাকটিস করতে হতো বোট চালানোর । যা তার পড়ালেখায় মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল।
(৭) প্রণয় ও পরিণয়ঃ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ক্রিসমাসের ছুটিতে বাড়ি আসতেই তার পরিবারের সদস্যরা তার অসুস্থতার বিষয়টি খেয়াল করেন। সেই সময়ই নিউ ইয়ার পার্টিতে দেখা হয় জেনির সাথে।তার একুশ সপ্তাহ পর যখন ডাক্তারের পরীক্ষায় তিনি জানতে পারলেন তিনি ল্যাটেরাল স্ক্লেরেওসিস এ আক্রান্ত। তখন তার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় কারণ তাকে বলা হয় তার বেঁচে থাকার সময়মাত্র কয়েকবছর। কিন্তু সেখানে লিউকেমিয়ায় মরনাপন্ন এক শিশুকে দেখে তিনি ফিরে পান বেঁচে থাকার প্রেরণা। তাই জেনিকে নিয়ে শুরু হয় প্রণয় জীবনের।
(৮) সবচেয়ে বড় আবিষ্কারঃ ১৯৮৩ সালে জিম হার্টলের সাথে আবিষ্কার করেন মহাবিশ্বের আকার আকৃতি সর্ম্পকে অজানা তথ্য।
(৯) লিখেছিলেন ছোটোদের বইঃ ২০০৭ সালে স্টিফেন হকিং তার মেয়ে লুসি হকিং এর সাথে মিলে লিখেছিলেন ছোটোদের বই "George's secret Key to the Universe" যা জর্জ নামের ছোটো বালকের কাহিনী কিন্তু যাতে রয়েছে ব্ল্যাকহোলসহ নানা বৈজ্ঞানিক ধারণা। ২০০৯ সালে বের হয়েছে এই বইয়ের পরবর্তী পর্ব।
(১০)নোবেল পুরস্কার জীবনে বহু পুরষ্কার পেলেও নোবেল পুরস্কারটা এখনো তাঁর থেকে গেছে অধরা।
স্টিফেন হকিং এর স্ত্রী ও শিশু :
1963 সালে একটি নতুন বছরের পার্টিতে জেন ওয়াইল্ডের সাথে সাক্ষাত করেন। তারা 1965 সালে বিয়ে করেছিল। দম্পতি 1 9 67 সালে রবার্টের একটি ছেলে, এবং 1970 সালে মেয়ে লুসিকে জন্ম দিয়েছিল। তিমোথের তৃতীয় সন্তানের জন্ম 1979 সালে।
স্টিভেন হকিং এর রোগ :
২1 বছর বয়সে, স্টিফেন হকিং অ্যামোটোট্রফিক পাশ্বর্ীয় স্কেলারোসিস (এলএএস, বা লোগ জেরিজের রোগ) এর সাথে নির্ণয় করেছিলেন। একটি খুব সহজ অর্থে, তার পেশী নিয়ন্ত্রিত স্নায়ু বন্ধ ছিল। সেই সময়ে, ডাক্তাররা তাকে দেড় বছর বাঁচতে দিয়েছিলেন।
মৃত্যু :
পরিবারের মুখপাত্র অনুযায়ী হকিন্স ১৪ মার্চ ২০১৮ তে কেমব্রিজে, তাঁর বাড়িতে মারা যান।
উক্তিঃ
১) বুদ্ধিমত্তা তাকেই বলে যখন আপনি পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।
২) আকাশের নক্ষত্ররাজির দিকে তাকাও, কখনো তোমার পায়ের দিকে নয়। তুমি যা দেখছ তা উপলব্ধি করার চেষ্টা কর এবং বিস্ময়াভূত হও যে সমগ্র বিশ্ব কেমন করে টিকে আছে। কৌতুহলী হতে শেখো।
৩) জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।
৪) বিজ্ঞান শুধুমাত্র অনুসন্ধানের বা কার্যকারণের শিষ্যই নয়; বরং তা এক ধরণের ভালোবাসা ও অনুরাগও বটে।
৫) যদি আপনি সবসময় রাগান্বিত থাকেন এবং অভিযোগ করতে থাকেন, কেউ আপনার জন্য নিজের মূল্যবান সময়টুকু দিতে চাইবে না।
৬) জীবনটা খুবই ছন্দহীন হয়ে যেত যদি জীবনে কোন হাসি ঠাট্টা না থাকত।
৭) একটি বৃহৎ মস্তিষ্কের নিউরণগুলো যেভাবে একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকে, আমরাও বর্তমানে ইন্টারনেটের সাথে এভাবেই যুক্ত আছি।
৮) আমার মত অন্যান্য চলৎশক্তিহীন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমার উপদেশ হবে এই যে, আপনারা কখনো নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না বা আপনার অবস্থা কেন এমন হল তা নিয়ে কারণ খুঁজতে যাবেন না। এর কোন কারণ নেই। এর চাইতে নিজের মাঝে যতটুকু শক্তি রয়েছে, তা দিয়ে অন্যের উপকার করুন।
৯) কয়েকদিনের পূর্বাভাস না দেখে কেউ হঠাৎ করে একদিনের আবহাওয়া পূর্ভাবাস বলে দিতে পারবে না।
১০) অভিকর্ষ থাকবার কারণেই এই বিশ্ব শূন্য থেকে তৈরি হয়ে যেতে পারে।
(১) জন্মঃ তাঁর জন্ম হয় ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। যা গ্যালিলিও এর জন্মের ঠিক ৩০০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন।
(২) স্কুলে ছিলেন খারাপ ছাত্রঃ যখন তার বয়স ছিল নয় বছর তখন তিনি ছিলেন ক্লাসের সর্বশেষ মেধাক্রমের ছাত্র অর্থাৎ পেছনের দিক থেকে প্রথম। (সূত্রঃ লার্সেন)
(৩) ডাক নাম ছিলো আইনস্টাইনঃ যদিও পরীক্ষায় কম পেতেন তবুও তাঁর বুদ্ধির তীব্রতায় শিক্ষকদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। বিজ্ঞান সর্ম্পকে আগ্রহের কারণে শিক্ষক আর বন্ধুরা আদর করে ডাকতেন আইনস্টাইন।
(৪) অক্সফোর্ডে চান্স পাওয়াঃ বাবার ইচ্ছে ছিলো ছেলে ডাক্তারি পড়বে নয়তো অক্সফোর্ডে পড়বে অথচ টাকা ছিলো না। স্টিফেন হকিং তাই অংশগ্রহণ করলেন স্কলারশিপ পরীক্ষায় এবং টিকেও গেলেন সফলতার স্বাক্ষর রেখে।
(৫) বেছে নিলেন কসমোলোজিঃ ছোটোবেলা থেকে প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো গণিতে অথচ অক্সফোর্ডে এসে বেছে নিলেন ফিজিক্সের একটি অপ্রচলিত শাখা কসমোলজি।
(৬) ছিলেন রেসিং বোট টিমের সদস্যঃ আত্মজীবনী লেখক ক্রিস্টিন লার্সেন এর ভাষ্যমতে স্টিফেন হকিং ভার্সিটি জীবনের প্রথম দিকে ছিলেন অনেক বেশি নিঃসঙ্গ। তাই হয়তো একাকীত্ব দূর করতেই যোগ দিয়েছিলেন কলেজের বোট রেসিং টিমে। সবচেয়ে মজার কথাটি হলো তাঁর দায়িত্ব ছিল রেসের সময় নৌকার হাল ধরে রাখা এবং এই কাজটি তিনি এতো সফলতার সাথে করেছিলেন যে অল্পকিছুদিনেই হয়ে উঠেছিলেন পুরো অক্সর্ফোডে বিপুল জনপ্রিয়।সপ্তাহে ছয়দিন সন্ধ্যায় প্র্যাকটিস করতে হতো বোট চালানোর । যা তার পড়ালেখায় মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল।
(৭) প্রণয় ও পরিণয়ঃ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ক্রিসমাসের ছুটিতে বাড়ি আসতেই তার পরিবারের সদস্যরা তার অসুস্থতার বিষয়টি খেয়াল করেন। সেই সময়ই নিউ ইয়ার পার্টিতে দেখা হয় জেনির সাথে।তার একুশ সপ্তাহ পর যখন ডাক্তারের পরীক্ষায় তিনি জানতে পারলেন তিনি ল্যাটেরাল স্ক্লেরেওসিস এ আক্রান্ত। তখন তার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় কারণ তাকে বলা হয় তার বেঁচে থাকার সময়মাত্র কয়েকবছর। কিন্তু সেখানে লিউকেমিয়ায় মরনাপন্ন এক শিশুকে দেখে তিনি ফিরে পান বেঁচে থাকার প্রেরণা। তাই জেনিকে নিয়ে শুরু হয় প্রণয় জীবনের।
(৮) সবচেয়ে বড় আবিষ্কারঃ ১৯৮৩ সালে জিম হার্টলের সাথে আবিষ্কার করেন মহাবিশ্বের আকার আকৃতি সর্ম্পকে অজানা তথ্য।
(৯) লিখেছিলেন ছোটোদের বইঃ ২০০৭ সালে স্টিফেন হকিং তার মেয়ে লুসি হকিং এর সাথে মিলে লিখেছিলেন ছোটোদের বই "George's secret Key to the Universe" যা জর্জ নামের ছোটো বালকের কাহিনী কিন্তু যাতে রয়েছে ব্ল্যাকহোলসহ নানা বৈজ্ঞানিক ধারণা। ২০০৯ সালে বের হয়েছে এই বইয়ের পরবর্তী পর্ব।
(১০)নোবেল পুরস্কার জীবনে বহু পুরষ্কার পেলেও নোবেল পুরস্কারটা এখনো তাঁর থেকে গেছে অধরা।
স্টিফেন হকিং এর স্ত্রী ও শিশু :
1963 সালে একটি নতুন বছরের পার্টিতে জেন ওয়াইল্ডের সাথে সাক্ষাত করেন। তারা 1965 সালে বিয়ে করেছিল। দম্পতি 1 9 67 সালে রবার্টের একটি ছেলে, এবং 1970 সালে মেয়ে লুসিকে জন্ম দিয়েছিল। তিমোথের তৃতীয় সন্তানের জন্ম 1979 সালে।
স্টিভেন হকিং এর রোগ :
২1 বছর বয়সে, স্টিফেন হকিং অ্যামোটোট্রফিক পাশ্বর্ীয় স্কেলারোসিস (এলএএস, বা লোগ জেরিজের রোগ) এর সাথে নির্ণয় করেছিলেন। একটি খুব সহজ অর্থে, তার পেশী নিয়ন্ত্রিত স্নায়ু বন্ধ ছিল। সেই সময়ে, ডাক্তাররা তাকে দেড় বছর বাঁচতে দিয়েছিলেন।
মৃত্যু :
পরিবারের মুখপাত্র অনুযায়ী হকিন্স ১৪ মার্চ ২০১৮ তে কেমব্রিজে, তাঁর বাড়িতে মারা যান।
উক্তিঃ
১) বুদ্ধিমত্তা তাকেই বলে যখন আপনি পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।
২) আকাশের নক্ষত্ররাজির দিকে তাকাও, কখনো তোমার পায়ের দিকে নয়। তুমি যা দেখছ তা উপলব্ধি করার চেষ্টা কর এবং বিস্ময়াভূত হও যে সমগ্র বিশ্ব কেমন করে টিকে আছে। কৌতুহলী হতে শেখো।
৩) জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।
৪) বিজ্ঞান শুধুমাত্র অনুসন্ধানের বা কার্যকারণের শিষ্যই নয়; বরং তা এক ধরণের ভালোবাসা ও অনুরাগও বটে।
৫) যদি আপনি সবসময় রাগান্বিত থাকেন এবং অভিযোগ করতে থাকেন, কেউ আপনার জন্য নিজের মূল্যবান সময়টুকু দিতে চাইবে না।
৬) জীবনটা খুবই ছন্দহীন হয়ে যেত যদি জীবনে কোন হাসি ঠাট্টা না থাকত।
৭) একটি বৃহৎ মস্তিষ্কের নিউরণগুলো যেভাবে একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকে, আমরাও বর্তমানে ইন্টারনেটের সাথে এভাবেই যুক্ত আছি।
৮) আমার মত অন্যান্য চলৎশক্তিহীন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমার উপদেশ হবে এই যে, আপনারা কখনো নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না বা আপনার অবস্থা কেন এমন হল তা নিয়ে কারণ খুঁজতে যাবেন না। এর কোন কারণ নেই। এর চাইতে নিজের মাঝে যতটুকু শক্তি রয়েছে, তা দিয়ে অন্যের উপকার করুন।
৯) কয়েকদিনের পূর্বাভাস না দেখে কেউ হঠাৎ করে একদিনের আবহাওয়া পূর্ভাবাস বলে দিতে পারবে না।
১০) অভিকর্ষ থাকবার কারণেই এই বিশ্ব শূন্য থেকে তৈরি হয়ে যেতে পারে।
By : Imtiaz Khandoker
Ref : (I) Priyo
(II) Wiki
(III) Google
(IV) Biography
Web Design | HTML শিখুন HTML5 সহ [পর্ব-2] |Tech-knowledgeBD -My First Web Page
আবারো এসেছি HTML নিয়ে। এর আগে HTML নিয়ে আরেকটি লেখা দিয়েছি । আপনি যদি না দেখে থাকেন তাহলে দেখে আসতে পারেনঃ
এর আগের পোস্টে HTML কি তা জানলেন। এবার আমি ধরে নিতে পারি আপনি HTML শিখতে আগ্রহী। এখন তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি HTML শিখব কিন্তু কি দিয়ে শিখব বা আমর কি কি লাগবে?? তাহলে আমি বলব আপনার কিছুই লাগবে না। কারন যা লাগবে তা আপনার পিসিতে অলরেডি আছেই। কারন HTML শিখতে আপনার একটি নোট প্যাড ও একটি ওয়েব ব্রাউজার লাগবে। নোট প্যাড লাগবে HTML কোড লিখতে। আর ওয়েব ব্রাউজার লাগবে আপনার কোডের ফলাফল দেখতে। কি দুটি আপনার পিসিতে নাই?? অবশ্যই আছে, তাহলে এবার চলুন কি ভবে প্রথম পেজ তৈরি করবেন তা জেনে নি।
প্রথমে নোট প্যাড খুলে নিচের কোড গুলো লিখুন।
1
2
3
4
5
6
| < html > < body > < h1 >Hi! Welcome to Our site (Heading)</ h1 > < p >It’s TechTweets, A new Technology Bangla Blogging platform. (Paragraph) </ p > </ body > </ html > |
নোট প্যাড খোলার জন্য Start>>Programs >> Accessories>> Notepad যান। অথবা Start>>run>>notepad লিখলেই Notepad চলে আসবে। নোটপ্যাডের ভেতর উপরের কোড গুলো লেখুন। এবার নোটপ্যাডের File মেনু থেকে Save As সিলেক্ট করুন। তারপর ফাইলের একটি নাম দিন। যেমন firstweb.html
খেয়াল রাখতে হবে যেন এক্সটেনশন .html থাকে। আপনি যেখানে ফাইলটি সেভ করেছেন, সেখানে গিয়ে এখন দেখতে পাবেন firstweb.html নামে একটি ফাইল রয়েছে। ঐ ফাইলটী যে কোন ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে খুলুন। তাহলে নিছের মত ফলাফল দেখতে পারবেন।
Yahooooo……..
আপনি একটি ওয়েব পেজ তৈরি করতে পেরেছেন।
Congratulation!
এখানের অনেক কিছুই না বুঝে করছেন তাই না? তাহলে একটু বুঝে নি। তার জন্য নোট প্যাডে আমরা কি লিখছি তা এবার একটু ব্যাখ্যা করে নি।
এখানে প্রথমে লিখছি। <html>, আমরা এর আগে জেনেছি যে < এবং> (বাকা ব্র্যাকেট) এর মধ্যে HTML Element গুলো লিখতে হয় । ব্র্যাকেট এর মধ্যে যা থাকে সেগুলোই হল HTML Element, আর এগুলোই হচ্ছে HTML এর প্রাণ। এ সকল Element ব্যবহার করে HTML পেজ বা একটি ওয়েব পেজ তৈরি করা হয়। সকল HTML Element এর দুটি অংশ থাকে। যাদের বলে HTML tag বা সংক্ষেপে tag। প্রথম টিকে বলে Start tag ও শেষের টিকে বলে End Tag।
প্রথমে Start tag, এটি বাকা ব্রেকেট <এবং > বা less than ও greater than ( < >) চিহ্ন দিতে এটা লিখতে হয়। এতক্ষনে আমর বুঝে গেছি যে HTML Tag জোড়ায় জোড়ায় থাকে। <html> টি হচ্ছে Start tag । সুতরাং এর একটি End Tag ও থাকবে। একেবারে শেষে দেখুন </html> । এটি হচ্ছে End Tag । End Tag একটি /(স্ল্যাস) থাকে। এ জন্য <html> tag এর শেষের tag হবে </html> ।
এখন বলি <html> ও </html> কেন লিখলাম, আমদের ওয়েব ব্রাউজারে তো <html> ও </html> দেখায় নি? হ্যাঁ <html> ও </html> একটি ওয়েব পেজ প্রকাশ করে। অর্থাৎ একটি .html বা .html Extension যুক্ত ফাইলে <html> ও </html> থাকলে আমাদের ব্রাউজার বুঝবে এটি একটি ওয়েব পেজ। এবার <html> ও </html> এ দুটি ট্যাগ এর মধ্যে যা থাকবে তাই ব্রাউজারে প্রকাশ করবে বা দেখাবে। আমারা যে কোড গুলো লিখবো তা এ HTML Tag এর মধ্যে লিখতে হবে।
এরপর HTML Tag এর মধ্যে আরেকটি ট্যাগ লিখছি।এবার লিখছি। <body> Element। এর ও রয়েছে দুটি অংশ। Start tag ও End Tag।
এটি ও একটি HTML ট্যাগ। সুতরাং এর ও একটি End Tag থাকবে। একটু নিচে দেখুন </body> tag টি রয়েছে।
web page এর প্রদর্শিত সকল বিষয় <body> element এর মধ্যে লিখতে হয়। এটি webpage এর প্রদর্শিত সকল বিষয় গুলো ধারণ করে। যে সব বিষয় গুলো আমরা web page এ দেখাতে চাই তা body element এর মধ্যে রাখতে হবে। আমরা সাধারনত সকল সাইটের এ অংশটা ই দেখি।
এবার লিখছি
1
| < h1 >Hi! Welcome to Our site (Heading)</ h1 ></ span > |
এটি হচ্ছে Heading Element. এটি হচ্ছে আপনার ওয়েব পেজের হেডলাইন। কোন প্রথম Heading লিখতে <h1> Element ব্যবহার করা হয়। আমরা যদি আবোল তাবল কিছু শব্দ লিখে দি তাহলে তো ব্রাউজার বুঝবে না আমারা কি লিখছি তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে কোনটা কি। অর্থাৎ <h1> Element দ্বারা আমরা কোনটা হেডলাইন তা প্রকাশ করতে পারি। আপনারা তো দেখলেন <h1> Element মধ্যের গুলো বড় করে ব্রাউজারে দেখাচ্ছে। যা নিউজ পেপারের হেডলাইনের মতই।
Tag এর ভিতরের অংশ কে বলে element content । মানে হচ্ছে start এবং end tag এর মধ্যের সব কিছুকে বলা হয় element content । এটা সকল HTML tag এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
তারপর লিখছি
1
| < p >It’s TechTweets, A new Technology Bangla Blogging platform. (Paragraph) </ p > |
এটি লিখছি Paragraph Element এর মধ্যে । <p> হচ্ছে Paragraph Element। এটি হচ্ছে সাইটের প্যারগ্রাফ। কোন Paragraph লিখতে <p> Element ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে যা থকবে তা প্যারগ্রাফ এর মত দেখাবে, যা নিউজ পেপারের হেডলাইনের নিছের কন্টেইন নিউজ এর মত মত।
আমরা আমাদের প্রথম ওয়েব পেজ এ আপাতত এগুলোই তো লিখছি তাই না?? এবার আপনি কয়েক বার প্র্যক্টিস করুন। আপনার ইচ্ছে মত সবকিছু পরিবর্তন করে। দেখুন কোনটা না লিখলে কি হয়। তাহলেই আপনি ভালো ভাবে শিখতে পারবেন। আমি যে ব্যাখ্যা দিলাম তা সম্পর্কে কোন সমস্যা বা বুঝতে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই যানাবেন। আমি সর্বোচ্ছ চেষ্টা করব আপনাকে সাহায্য করার জন্য।
আমরা HTML কোডিং করা শিখে গিয়েছি। কোডিং করার জন্য আমাদের দরকার একটা কোড এডিটর। এখন থেকে আমরা এইচটিএমএল কোড গুলো লেখার জন্য একটি কোড এডিটর ব্যবহার করব। অনেক গুলো কোড এডিটর রয়েছে। সহজ একটা কোড এডিট হচ্ছে notepad-plus-plus। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
আরেকটি সুন্দর কোড এডিটর হচ্ছে Sublime Text 3 যে কোন একটা ডাউনলোড করে নিলেই হবে। এরপর কোড এডিটরটি ওপেন করে আপনার এইচটিএমএল কোড গুলো লিখুন। তারপর File মেনু থেকে Save As এ ক্লিক করে ফাইলের নাম দিন। এবং শেষে .html লিখুন। যেমন: myfile.html এবার আপনি ঐ ফাইলটি ব্রাউজারে ওপেন করে দেখতে পারবেন।