Latest Topics

Showing posts with label health. Show all posts
Showing posts with label health. Show all posts

মানসিক রোগ কী ? মানসিক রোগ কেন হয় ? মানসিক রোগের চিকিৎসা ।

মানসিক রোগ কী ?

মানসিক রোগ হচ্ছে মনের অসুখ। শরীর ও মন নিয়েই মানুষ। মানুষের শরীরের যেমন অসুখ হয়, মনেরও তেমনি অসুখ হয়। শরীরের অসুখ আমরা সহজেই মেনে নিই। কিন্তু মনেরও অসুখ হবে- ব্যাপারটা আমরা ঠিক মানতে পারি না। আমরা মানতে পারি বা না পারি, মনের যে অসুখ হয় এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য। এই মনের অসুখের স্বরুপ কী? আমরা ঠিক কোন অবস্থাকে মনের অসুখ বলবো ?




কোনো মানুষের চিন্তা ও আচরণে হালকা থেকে মাঝারি বা তীব্র ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে যদি তার নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়, তিনি যদি জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেন, এই অবস্থাটিকে আমরা মানসিক অসুস্থতা বলতে পারি। এই অবস্থায় মানুষটি তার চিন্তা ও আবেগের ভারসাম্য রক্ষা করতে হিমশিম খান বা হারিয়ে ফেলেন। আপনার চিরপরিচিত মানুষটি হয়ে যান অন্য কোনো মানুষ। মানসিক রোগ হলে অভ্যাস, ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, চিন্তা সবকিছুই প্রভাবিত হয়। সবকিছুতেই পরিবর্তন আসে। এই পর্যন্ত প্রায় দুইশরও বেশি ধরনের মানসিক রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ডিপ্রেসন, এংজাইটি ডিসঅর্ডার, ডিমেনশিয়া, স্কিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার প্রভৃতি সবচেয়ে বেশি ঘটতে দেখা যায়। মানসিক রোগ শারীরিক ও আবেগীয় দিককেও প্রভাবিত করে।

মানসিক রোগ কেন হয় ?

অতিরিক্ত মানসিক চাপ, প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতা, জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনার প্রভাব প্রভৃতি কারণে সাধারণত মানসিক রোগ হতে দেখা যায়। এছাড়া জিনগত কারণে এবং শরীরের জৈবরাসায়নিক ভারসাম্যহীনতাকে মানসিক রোগের জন্য দায়ী ভাবা হয়। 

মানসিক রোগের উপসর্গ 

বিভিন্ন রোগের উপসর্গ বিভিন্ন রকমের হয়। তবে সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক, কিশোর-তরুণ, বৃদ্ধদের নিচের উপসর্গগুলো দেখা যেতে পারে।
- চিন্তাভাবনায় সমস্যা
- দীর্ঘদিন হতাশায় ভোগা
- মন-মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন
- অতিরিক্ত ভয় ও দুশ্চিন্তা
- সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
- খাদ্যগ্রহণ ও ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন
- তীব্র রাগ
- ভুল, অদ্ভুতুড়ে বিশ্বাস (delusion)
- ভুল দেখা, ভুল শোনা (hallucination)
- দৈনন্দিন জীবনের খেই হারিয়ে ফেলা
- আত্মহত্যার চিন্তা ও চেষ্টা 
শিশুদের ক্ষেত্রে
- স্কুলের ফলাফলে আকস্মিক পরিবর্তন
- অনেক চেষ্টা করেও ভাল ফলাফল করতে না পারা
- খাদ্য ও ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন
- অতিরিক্ত চাঞ্চল্য বা নিথর হয়ে যাওয়া
- ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখা
- খুব বেশি রাগারাগি করা

মানসিক রোগের চিকিৎসা 

আপনার যদি মানসিক রোগ হয় তাহলে কী করবেন? চমকে গেলেন তো? খুবই স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যে একটা অদ্ভুত ধারণা প্রচলিত আছে যে 'আমার কখনো মানসিক রোগ হবে না। আমি এবং আমার প্রিয় মানুষগুলো এই বিদঘুটে রোগগুলো থেকে পুরোপুরি নিরাপদ'। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি বা আপনার কাছের কেউই যেকোনো সময় যেকোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। এতে লজ্জার কিছু নাই। এটা কোনো দুর্বলতাও নয়। তাই আপনার মধ্যে যদি কখনো মানসিক রোগের উপসর্গগুলো দেখা দেয় তাহলে প্রথমেই যা করবেন তা হলো সকল উন্নাসিকতা ঝেড়ে ফেলে মেনে নিন যে, আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তারপর বিশ্বস্ত কারো সাথে পরামর্শ করতে পারেন, কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আপনার জন্য ভাল হবে। তারপর সোজা তার চেম্বারে যাবেন।নিজে সমাধানের চেষ্টা করবেন না, সমাধান খুঁজুন সাইকিয়াট্রিস্টের চেম্বারে।
তিনি ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলে ওষুধ খাবেন। যা করতে বলবেন সেই কাজগুলো গুরুত্বের সাথে করবেন। এছাড়া দক্ষ কোনো সাইকোলজিস্টের সান্নিধ্যে সাইকোথেরাপি নেয়াও দারুণ উপকারী। আপনার চিকিৎসা কী হবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনার রোগের তীব্রতার উপর। তীব্রতা বেশি হলে সাধারণত ওষুধ দেয়া হয়।
আর ওষুধ লিখেন মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মনোরোগ বিশেষজ্ঞগণ। সাইকোলজিস্টরা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করে থাকেন। তারা চিকিৎসা করেন কথা বলে বা আলোচনা করে আপনার সমস্যা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে।


সাইকোথেরাপিও উপকারী ।
আমাদের দেশের বাস্তবতায় মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে চিকিৎসা নেওয়া - সবই গুরুতর লজ্জা এবং অপরাধের কাজ। এই ঘটনাগুলো ঘটলে আপনাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হবে। পরিবারের সহযোগিতাও হয়ত সবসময় পাওয়া যাবে না। সেজন্য হতাশ হবেন না, নিজের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না।

বিশ্বাস করুন, আপনি যদি সমস্যা ক্ষুদ্র থাকতে চিকিৎসা গ্রহণ না করেন, তাহলে রোগের তীব্রতা অবশ্যই বেড়ে যাবে। তখন সমাজ, পরিবার কাউকেই পাশে পাবেন না। কেউ কেউ হয়তো সহযোগিতাপ্রবণ পরিবার পেয়ে থাকেন, তবে বেশিরভাগই ততটা সৌভাগ্যবান নন। সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানোর কথা বললে একশ্রেণীর মানুষ ক্ষেপে যান। তাদের প্রতিক্রিয়া, 'হ্যাঁ, আমি কি পাগল হয়েছি যে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাবো?' তাদের কাছে মানসিক রোগ মানেই পাগল হওয়া।

তাহলে পাগল হওয়া কাকে বলে? মানসিক ভারসাম্য পুরোপুরি হারিয়ে ফেলা, ছেঁড়া জামাকাপড় পড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো। আর সাইকিয়াট্রিস্ট মানে এদের ধরে বেঁধে রেখে যারা চিকিৎসা করেন। এমন ভাবনা যাদের, তাদের জানা উচিত, মানসিক রোগ মানেই পাগল হওয়া না। মানসিক রোগ মানসিক চিন্তা ও আচরণে এমন কিছু পরিবর্তন যা ব্যক্তির ক্ষতি করছে। এই ক্ষতি ঠেকাতে সাইকিয়াট্রিস্ট ব্যক্তিকে সহযোগিতা করেন। আমাদের দেশে আরেকটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, ধর্ম মেনে চললে মানসিক রোগ হয় না। কিন্তু মানসিক রোগ ধার্মিক-অধার্মিক মেনে হয় না।

যদিও ধার্মিক লোকদের মানসিক সেবা নেয়ার প্রবণতা থাকে। আপনি যখন মানসিকভাবে সুস্থ তখন ধর্ম মেনে চললে আরো ভাল থাকতে পারবেন। কিন্তু যখন অসুস্থ হয়ে পড়বেন তখন ধর্মীয় বিধিবিধান মানার মতো অবস্থাই থাকে না। সেই অবস্থায় অবশ্যই আপনি ধর্ম মানার চেষ্টা করবেন। তবে রোগের জন্য চিকিৎসাও নিতে হবে।

মানসিক রোগ সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা 

প্রিয় কারো মৃত্যু, চাকরি হারানো, সম্পর্কচ্ছেদ, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর। এতে আমরা ভেঙে পড়ি, কষ্ট পাই, দিনের অনেকটা সময় মন খারাপ করে বসে থাকি। কিন্তু কোনো ঘটনায় তীব্র আঘাত পাওয়াজনিত শোক বা শুধুই মন খারাপকে হতাশা বা ডিপ্রেশন বলে না। ডিপ্রেশন তখনই বলা যাবে যখন একইসাথে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র মন খারাপ থাকবে, আপনি তীব্র হীনমন্যতায় ভুগবেন, এককালের প্রিয় ও পছন্দের কাজেও মনোযোগ দিতে পারবেন না, সবকিছু অসহ্য লাগবে, জীবনটা অর্থহীন মনে হবে, আত্মহত্যার চিন্তা করবেন, এমনকি সেই চেষ্টাও করবেন। হতাশায় আক্রান্ত ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস অসম্ভব কমে যায়। ফলে তিনি দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কাজগুলোও করতে পারেন না।
হতাশার তলদেশে;
এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন হয়তো তাকে অলস, অকর্মার ধাড়ী, ঢং করছে প্রভৃতি নানা তিক্ত কথা বলবেন। অযাচিত উপদেশ দিবেন, বোঝাবেন। কিন্তু এতেও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো পরিবর্তন হবে না। এই 'হালকা' ডোজ কাজ করছে না বলে তারা কঠিন অ্যাকশনে যাবেন। হয়তো বিরক্ত হয়ে রাগারাগি করবেন তারা, গালাগাল করবেন। কিন্তু এরা একবারও ভাববেন না এই লোকটি কিছুদিন আগেও ভাল ছিল, পরিশ্রমী ছিল।

এখন হঠাৎ পরিবর্তন হলো কেন? তারা বকাবকি করে আর জ্ঞান দিয়ে দুনিয়া উদ্ধার করতে চান, একবারও ভাবেন না যে তিনি মানসিকভাবে রোগগ্রস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আপনি যদি এমন অবস্থার শিকার হন বা এমন অবস্থা দেখে থাকেন তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা দিন। ভেবে দেখুন, আক্রান্ত ব্যক্তি এমনিতেই তীব্র মনোকষ্টে ভোগেন, পরিবারের লোকজনের খারাপ আচরণ তাকে কতটা কষ্ট দেবে। এ অবস্থায় তিনি হয়তো সামগ্রিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন।
আপনার আচরণে কষ্ট পেয়ে কেউ যেন আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয়; 
পরিবারের সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ একান্ত জরুরী। একজনকে নিরীহ মানুষকে স্রেফ রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণে মেরে ফেলার অধিকার অবশ্যই কারোর নেই।

এংজাইটি ডিসঅর্ডার

এংজাইটি ডিজঅর্ডার বেশ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। জেনারালাইজড এংজাইটি ডিজঅর্ডার, সোশ্যাল এংজাইটি ডিজঅর্ডার, প্যানিক ডিজঅর্ডার, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার প্রভৃতি সব রোগই এংজাইটি ডিজঅর্ডারের মধ্যে পড়ে। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডারের ব্যাপ্তি বেশ বড়। তাই এটা নিয়ে আলাদা আলোচনা থাকবে। তো এংজাইটি ডিজঅর্ডার কথাটা শুনলে সাধারণ মানুষ মনে করে দুশ্চিন্তা করা, যেটা চেষ্টা করলেই দূর করা যাবে।
আক্রান্ত ব্যক্তি শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করছেন বা ভয় পাচ্ছেন। দুশ্চিন্তা বা ভয় তো জীবনের স্বাভাবিক অনুষঙ্গ। তাই হয়তো অনেকে ভাবেন, আমিও দুশ্চিন্তা করি, আমিও ভয় পাই। এটাকে এত পাত্তা দেয়ার কী আছে। তারা বোঝেন না, ভয় পাওয়া খুবই স্বাভাবিক, দুশ্চিন্তা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ভয় বা দুশ্চিন্তা মাত্রা ছাড়ালে তা বিপদের কারণ হয়। তখন সেটা আর স্বাভাবিকভাবে ঝেড়ে ফেলা যায় না, সেটা হয়ে পড়ে একটা মেডিক্যাল ক্রাইসিস। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে।

এংজাইটি ডিজঅর্ডারের বেশ কিছু শারীরীক উপসর্গও দেখা যায়। যেমন- মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, মাথা থেকে গরম ভাপ ওঠা, হাত-পা কাঁপা, ঘেমে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা ইত্যাদি। অবস্থা দেখে মনে হতে পারে হার্ট ডিজিজ। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কিছুই ধরা পড়লো না। তখন বুঝতে হবে এটা প্যানিক ডিজঅর্ডার। তখন আর কার্ডিওলজিস্টের চেম্বারে ঘোরাঘুরি না করে সাইকিয়াট্রিস্টের চেম্বারে যেতে হবে। আবার কেউ সামাজিক পরিবেশে মিশতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না। তাকে বকাঝকা না করে ডাক্তার দেখানো অপরিহার্য। চিকিৎসায় এই রোগগুলো সেরে যায়। তাই দয়া করে এরকম অবস্থাগুলোকে অবহেলা করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসা নিন।

স্কিৎজোফ্রেনিয়া 

স্কিৎজোফ্রেনিয়ার জটিলতম মানসিক রোগগুলোর একটা। ভুল বিশ্বাস, ভুলভাল দেখা, গায়েবী আওয়াজ শোনা, নিজেকে আঘাত করা ইত্যাদি এই রোগের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কাল্পনিক এক জগতে বাস করেন। তাই তার চিন্তা ও আচরণে ভিন্নতা খুবই প্রকটভাবে ধরা পড়ে। এদেরকে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়। এই রোগীদেরই মূলত 'পাগল' বলা হয়। তবে বেশিরভাগ রোগীরই সমস্যা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে এবং তারা পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন নন। ভাল চিকিৎসা করলে স্কিৎজোফ্রেনিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Prepared by : Imtiaz Khandoker

হারম্যান গ্রিড ইল্যুশন: দৃষ্টিভ্রম কেন হয় | Tech-knowledgeBD

 অপটিক্যাল  ইল্যুশন কী? 
অপটিক্যাল ইল্যুশন ভিজুয়্যাল ইল্যুশন নামেও পরিচিত। ইমেজ ব্যবস্থাপনা, কালার ইফেক্ট, আলোক উৎস ও পরবির্তনশীল বস্তু, বিভ্রান্তিকর ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের কারণে অপটিক্যাল ইল্যুশন হয়।



অপনি যদি স্টেরেওগ্রামের মধ্যে লুকোনো কোনো একক ছবি দেখতে চেষ্টা করেন তখন দেখবেন সবার ভিজুয়্যাল ইল্যুশন এক নয়। অপটিক্যাল ইল্যুশন নিয়ে  থাকছে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন। এ আয়োজনে জানবো কেন ও কীভাবে এ বিভ্রমগুলো ঘটে।
ইল্যুশন অনেক রকমের রয়েছে। এর মধ্যে একটি হারম্যান গ্রিড ইল্যুশন। অপটিক্যাল ইল্যুশন সিরিজের প্রথম পর্বে থাকছে হারম্যান গ্রিড ইল্যুশন।


ছবিতে কী দেখতে পাচ্ছেন?

হারম্যান গ্রিড ১৮৭০ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন লুদিমার হারম্যান নামে এক শরীরবিজ্ঞানী। যখন ভিউয়াররা গ্রিডের দিকে চোখ রাখেন তখন দেখতে পান প্রাতিটি করিডোরের সাদা ডটগুলোর রঙ বদলে ধূসর হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যখন কোনো নির্দিষ্ট ডটের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করেন, তখন দেখেন ডটটি সাদা রঙের। কিন্তু যখনই মনোযোগ সরে যায় তখনই মনে হয় সাদা ডটটি ধূসর রঙে পরিণত হচ্ছে।

হারম্যান গ্রিড ইল্যুশন যেভাবে কাজ করে-

প্রশ্ন হলো, কেন ব্যক্তিরা ধূসর দেখতে পান যেখানে তাদের সাদা দেখার কথা? কেন আমরা বাস্তবের চেয়ে একেবারে ভিন্ন কিছু দেখি?
গবেষকরা সনাতন পদ্ধতিতে ব্যক্তিদের ধূসর অংশ দেখার কারণ বর্ণনায় সাধারণত লেটারেল ইনহিবিশন বা পার্শ্বিক বাধাদানকে ব্যবহার করেন। লেটারেল ইনহাইবিশন উপলব্ধির অতি গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রকাশ করে। আমরা সব সময় বুঝি না যা দেখছি আসলেই সেখানে কী তা রয়েছে। আমাদের ভিজু্য়্যাল সিস্টেম যখন পরিবেশের প্রতি সাড়া দেয় তখন মস্তিষ্ক যা বিশ্লেষণ করে তার ওপর আমাদের উপলব্ধি নির্ভর করে।


তবে সনাতন  এই ব্যাখ্যাকে ভুল বলে অভিহিত করেছেন অনেক গবেষক। ভুল হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকরা তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন, ইল্যুশন আকারের ওপর নির্ভর করে না, বিপরীতমুখী পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা যেতে পারে, লাইন বিকৃতির কারণে হতে পারে।

অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ইল্যুশন নির্ভর করে মৌলিক তথ্য ও কয়েকটি অনুমানের উপর। এই ব্যাখ্যাটি S1 সিম্পল সেল থিওরি নামে পরিচিত।

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাবেন কিভাবে?

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাবেন কিভাবে ?

হঠাৎ করে শুরু হয়ে গেল মাইগ্রেনের ব্যথা। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সে এই রোগ শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১১ শতাংশ বয়স্ক মানুষ মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় ভোগেন।

মাইগ্রেন কী ?


মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে, সেগুলো মাথাব্যথার শুরুতে স্ফীত হয়ে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি এবং বমি বমি ভাব রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এম এস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়। দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় অন্য সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। মাইগ্রেন একধরনের প্রাইমারি হেডেক, যা নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। চিকিৎসকের অধীনে এবং নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা উচিত। মাইগ্রেনের ব্যথা চোখের কোনো সমস্যার জন্য হয় না।


কেন এবং কাদের বেশি হয় ?
মাইগ্রেন কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এটি বংশগত বা অজ্ঞাত কোনো কারণে হতে পারে। এটি সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। নারীদের ঋতুস্রাবের সময় মাথাব্যথা বাড়ে। চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম, অনিদ্রা, অনেকক্ষণ টিভি দেখা, দীর্ঘসময় কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইলে কথা বলা ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতি উজ্জ্বল আলো এই রোগকে বাড়িয়ে দেয়।

লক্ষণ :
মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে | চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে|


যেসব খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে :

* ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। যেমন ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক।
* বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে।
* সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়।
* ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।
* আদার টুকরো বা রস দিনে দুবার জিঞ্চার পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন
* চা, কফি ও কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দই, দুধ, মাখন, টমেটো ও টক জাতীয় ফল খাবেন না
* গম জাতীয় খাবার, যেমন রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি
* আপেল, কলা ও চিনাবাদাম
* পেঁয়াজ
তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় একটা ডায়েরি রাখা। যাতে আপনি নোট করে রাখতে পারেন কোন কোন খাবার ও কোন কোন পারিপার্শ্বিক ঘটনায় ব্যথা বাড়ছে বা কমছে। এ রকম এক সপ্তাহ নোট করলে আপনি নিজেই নিজের সমাধান পেয়ে যাবেন। তবে ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মাইগ্রেন থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় :

* মাইগ্রেন চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক এবং প্রতিরোধক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
* প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।
* অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।
* কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।
* উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।
* বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।
* মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে), বিশ্রাম করা, ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।

ধূমপানের নেশা কিভাবে সহজে পরিত্যাগ করবেন ?

ধূমপানের নেশা কিভাবে সহজে পরিত্যাগ করবেন?

ধূমপায়ীদের পক্ষে এ নেশা ত্যাগ করা মোটেই সহজ নয়। অনেকে তো রীতিমতো যুদ্ধ করেও হাল ছেড়ে দেন। কারণ মাঝে মাঝে এমন সময় এসে উপস্থিত হয় যখন ধূমপান না করা পর্যন্ত স্বস্তি পান না অনেকে। আর এভাবেই ছাড়ি ছাড়ি করেই এই বদ অভ্যাসটি ছাড়া হয় না। এক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো এ লেখায়।
হাঁটাহাঁটি শুরু করুন :
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তখন হাঁটতে চলে যান বাইরে। ৫-১০ মিনিট হেঁটে আসুন। হাঁটা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে। এবং শারীরিক পরিশ্রম অনেকাংশে ধূমপানের ইচ্ছে কমিয়ে দেয়।


মনোযোগ অন্যদিকে সরান :
ধূমপানের ইচ্ছা মনের ভেতর চাগিয়ে উঠলে দ্রুত মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। নিজের পছন্দের কিছু করুন, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শোনা কিংবা একটু নেচে নেয়া ইত্যাদি।

চাইলে একটু যোগ ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এতে মনোযোগ সরে যাবে সেই সঙ্গে ধূমপানের ইচ্ছেটাও।

পানি পান করুন :
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে জাগবে তখনই ২ গ্লাস পানি পান করে ফেলবেন এক নিঃশ্বাসে। এতে করে আপনার দেহে যে ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ধূমপান না করার কারণে তা নষ্ট হবে। আপনার ধূমপানের ইচ্ছেও চলে যাবে।

মিষ্টি কিছু খান :
যখন দেহের রক্তে চিনির মাত্রা কমে যায় তখনই ধূমপানের ইচ্ছেটা বেশ ভালো করে চাগিয়ে উঠে। তাই ধূমপানের ইচ্ছে হলেই চিনি সমৃদ্ধ কিছু খেয়ে ফেলুন। এতে ধূমপানের ইচ্ছে মরে যাবে।


বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন :
যখনই ইচ্ছে হবে একটু ধূমপান করার তখনই সাত পাঁচ না ভেবে বন্ধু বা বান্ধবীকে ফোন দিন কিংবা কাছাকাছি থাকলে মুখোমুখি কথা বলুন। পাঁচ মিনিট কথা বলুন। দেখবেন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার ছলে ভুলেই গেছেন ধূমপান করার কথা। এবং ৫ মিনিট পরে আবিষ্কার করবেন ধূমপানের যে ইচ্ছেটা জেগে উঠেছিল তা মরে গেছে।

ধূমপান ত্যাগের কারণটি মনে করুন :
ধূমপানের খুব ইচ্ছে হলে মনে করুন কি কারণে আপনি ধূমপান ছাড়তে চাইছেন। কোনো পছন্দের মানুষের কারণে বা নিজের বাবা-মায়ের কারণে অথবা নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে। যে কারণেই হোক সেটি মনে করুন এতে মনের জোর পাবেন।

বুকের ব্যথা কি কারনে হচ্ছে জেনে নিন

বুকের ব্যথা কি কারনে হচ্ছে জেনে নিন। বুকের ব্যথা এক ধরনে জটিল সমস্যা। এই সমস্যা এতো জটিল হয় যার জন্য কোন ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যেতে হয়। বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা হয়ে থাকে। প্রথমে দেখতে হবে বুকে ব্যথা আঘাত জনিত কারণে না আঘাত বিহীন কারণে। যদি আঘাত বিহীন কারণে বুকে ব্যথা হয় তাহলে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে হৃদরোগ জনিত কারণে না অন্য কোন কারণে বুকে ব্যথা হয়েছে। এই কারণ নির্ধারনের জন্য রোগীর কাছ থেকে রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ইতিহাস জানতে হবে এবং এর পর শারীরিক ও ল্যাব পরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয় করলে বেশীর ভাগ বুকের ব্যথা ভাল করা সম্ভব।


বুকের ব্যথা কি কারনে হচ্ছে জেনে নিন :

১. হৃদরোগ জানিত কারণ
২. ফুসফুস জানিত কারণ
৩. মাংশ পেশী জনিত কারণ (Musculoskeletal Pain)
৪. খাদ্যনালী জানিত কারণ
৫. মানসিক কারণ
৬. আর ও অন্যন্য কারণ প্রথমে বুকের ব্যথা কোন স্থানে- বুকের মাঝ খানে, না বাম বা ডান পার্শ্বে, বুকে ব্যথার প্রকৃতি- চাপ চাপ ব্যথা, মনে হয় বুকের মাঝ খানে পাথর বসিয়ে রেখেছে এমন, দমবন্ধ হয়ে আসে এমন বা অনুভূতিহীন যেমন হৃদরোগ জনিত কারণ।

তীব্র ব্যথা, ছুড়ি দিয়ে আঘাত করলে যেমন মনে হয়, পোড়ানো ব্যথা, শ্বাস নেবার সাথে সাথে তীব্র ব্যথা; ফুসফুস জানিত কারণ যেমন নিমোনিয়া, পালমোনারী অ্যামবলিজম, হৃদ যন্ত্রের প্রদাহ। হঠাত্ তীব্র পীড়াদায়ক ব্যথা বুকের সামনে থেকে পিছনের দিকে চলে যায় Aortic Desection (ধমনী ছেঁড়া জনিত কারণ) যদি বুকে ব্যথা পরিশ্রম করলে, দুঃচিন্তা করলে, ঠান্ডা আবাহাওয়ার সর্ষ্পশে আসলে, দুঃস্বপ্ন দেখলে বাড়ে কিন্তু বিশ্রাম নিলে, জিহবার নীচে নাইট্রেট জাতীয় ওষুধ দিলে কমে তাহলে হৃদ রোগ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। খাবার পর, শোবার সময়, গরম খাবার, মদ পান করলে এবং খালী পেটে যদি ব্যথা বাড়ে, এ্যান্টাসীড জাতীয় ওষুধ খেলে কমে যায়, তাহলে খাদ্য নালী জানিত কারণ, বুকের ব্যথার সাথে শ্বাস কষ্ট হলে হৃদরোগ, পালমোনারী অ্যামবলিজম নিমোনিয়া নিউমোথোরাক্স হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।


পরিশ্রম শুরু করার কিছুক্ষণ পর থেকে ব্যথা শুরু হয়, বিশ্রাম নিলেও ব্যথা থাকে, ব্যথা নিরাময় জাতীয় ওষুধ (যেমন Diclofen) জাতীয় ওষুধ থেকে ব্যথা কমে তাহলে মাংশপেশী জনিত কারণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, হঠাত্ কোন শব্দ হলে বুকের ব্যথা বেড়ে যায় ও বুক ধড়পড় করে, কোন মৃত্যুর সংবাদ শুনলে বুকে ব্যথা শুরু হয়, বিভিন্ন ধরনের দুঃচিন্তা করলে বুকে ব্যথা বেড়ে যায় তাহলে মানসিক কারণে হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয় । জরুরী বিভাগের বুকের ব্যথা জনিত কারণে যেসব রোগী আসে তার শতকর ১০ ভাগের বেশী আসে মানসিক বা দুংচিন্তা জনিত কারণে। অনেক সময় পেট ব্যথার সাথে সাথে বুকে ব্যথা থাকতে পারে যেমন পিত্তথলীতে পাথর অথবা Pancreatitis, কারণে হয়। যে কারণেই বুকে ব্যথা হোক না কেন রোগী অবশ্যই চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যেমন বুকের CXR, ইসিজি জাতীয় পরীক্ষা করে দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সঠিক চিকিত্সা করালে বেশীর ভাগ রোগী ভাল হয়ে যায় এবং অনেক সময় দ্রুত হৃদরোগ নির্ণয় করা যায় এবং সঠিক চিকিত্সা দেওয়া সম্ভব। সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোন রোগের কারণ না পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে রোগীকে সঠিক উপদেশ দিয়েও বুকের ব্যথা ভাল করা সম্ভব।

স্লিপ প্যারালাইসিস বা ‘বোবায়’ ধরলে করণীয় |


ঘুমের সময় কিংবা স্বপ্ন দেখার সময় অবচেতন মনে অনেকের একটি ঘটনা ঘটে থাকে। যাকে স্লিপ প্যারালাইসিস বা বোবায় ধরা বলা হয়। এই সময় শরীরের পেশী সম্পূর্ণ দুর্বল হয়ে যায়। ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে বা প্রায় জাগ্রত অবস্থায় সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে পড়ে। এতে সে মানসিকভাবে জাগ্রত থাকে ঠিকই কিন্তু শারীরিকভাবে হয়ে পড়ে অসাড়।

এই সময় শরীরে কতগুলো পরিবর্তন ঘটে থাকে। যেমন-হার্টবিট কমে যাওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, গলায় বা বুকে চাপ অনুভূত হওয়া, নানা রকম দুঃস্বপ্ন কিংবা শত্রুর উপস্থিতি অনুভূত হওয়া ইত্যাদি। এছাড়া ভয় এবং অসহায় বোধ করতে থাকে মানুষ। ঘুমিয়ে গেলে মস্তিষ্ক থেকে পেশীতে সংকেত যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাই পেশীসমূহ হয়ে যায় অসাড়।

তাই স্লিপ প্যারালাইসিস এর সময় যা করা উচিত-চোখ বারবার নাড়াচাড়ার চেষ্টা করা, এতে স্লিপ প্যারালাইসিস থেমে যায় অল্প সময়ের মধ্যে। ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিতে চেষ্টা করা। শরীরের কিছু অংশ যেমন-জিহ্বা, পায়ের আঙুল নাড়ানোর চেষ্টা করা। এতে সম্পূর্ণ জেগে উঠা সম্ভব হবে।

স্লিপ প্যারালাইসিস সাধারণত কিছু কারণে হয়ে থাকে। যেমন-নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস না থাকলে স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই অনিদ্রা পরিহার করা উচিত। ঘুমের সময় চিত কিংবা উপুড় হয়ে না শুয়ে কাত হয়ে শোওয়া উত্তম।

ঘুমের কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পূর্বে খাবার গ্রহণ করা উচিত। মানসিক চাপ স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা পরিহার করুন। ঘুমের ওষুধ পরিহার করা ভালো। ঘুমের ওষুধ স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে। যদি ৬ মাসের অধিক সময় সপ্তাহে একবার স্লিপ প্যারালাইসিস হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লেখক: ডা. তানজিয়া নাহার তিনা

কিডনি সুস্থ রাখার উপায় |


মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। মানুষের শরীরে দুইটি কিডনি থাকে যেগুলো শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ছেঁকে ফেলে। কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিবছর অনেক মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করে। এই ধরণের রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত। তাই আজ জেনে নিন কিডনি ভালো রাখার ১০টি উপায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয়না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

লবণ কম খান
খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র এক চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করুন।

অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
গরুর মাংস, শুকরের মাংস ইত্যাদি খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডুলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে মাছ বা ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখুন খাবার তালিকায়।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখুন
রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন। রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান। সুগার বেশি থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান
কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথা নাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়। নিয়ম না জেনে নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে আপনার অজান্তেই কিডনির বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাবেন না
মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।

কোমল পানীয় ত্যাগ করুন
অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। এ ধরণের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায় পানি খেয়ে নিন।

ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। ফলে ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ী ব্যক্তি এক পর্যায়ে গিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়।

কিডনীর পরীক্ষা করান
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের কিডনি রোগের ঝুকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।

চুল পরছে ?

Tech-knowledgeBD
চুল পরছে ? 

আধুনিক এই জীবনে রোজকার বাইরের দূষণ, পানির সমস্যা, মানসিক চাপ- সবমিলিয়ে প্রভাব চুলের ওপরেই পরেছে বলে এককালের ঘন চুল এখন অতীত?

পুরোনো অতীত যদি ফিরিয়ে আনতে চান, অর্থাৎ পাতলা হয়ে যাওয়া চুল আবারো ঘন, কালো, সুন্দর করতে হলে এবং চুল পরা ঠেকাতে হলে নজর দিন আপনার রান্নাঘরে!

চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়ে ওষুধ গ্রহণ করে চুল ঘন করার বা চুল পরা বন্ধ করার চেষ্টার অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তো আছেই, আর আদৌ যে সমস্যার সমাধান হবে- তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

কিন্তু ঘরোয়া উপায়গুলো যদি নিয়ম করে মেনে চলেন, সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীনভাবে পাবেন ঝলমলে, উজ্জ্বল, কালো- ও সবচেয়ে বড় কথা দারুণ ঘন চুল! এরকমই কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিয়ে চুল ঘন করতে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিজের রান্নাঘরে যান এবং দেখুন চমৎকার ফল!

১. চুল পড়া বন্ধ করা এবং নতুন চুল গজানোর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ঘন চুল পাওয়ার প্রধান পথ হলো- চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া। এতে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেহের ভেতর থেকে কাজ করে যাবে চুল ভালো রাখার জন্য।

২. নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের তেল চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে মাথার শিরা-উপশিরায় রক্তসঞ্চালন বাড়ান। এভাবে তেলে থাকা উপাদানগুলো চুলে পৌঁছালে চুল সরাসরি কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি তো পাবেই এবং একইসাথে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে ও চুল নরম-কোমল-মসৃণ-নমনীয় হবে।

চুলে নারকেল তেল, বাদাম তেল, তিলের তেল, আমলকির তেল, জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে তো পারেনই, এমনকি রোজকার রান্নার সয়াবিন তেলও এক্ষেত্রে ফেলনা নয়।

প্রয়োজন হলে নিজের সুবিধামতো বিভিন্ন তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন কিংবা তেলের সঙ্গে আদা, রসুন, ধনে পাতা, আমলকি, জবা ফুল- ইত্যাদির যেকোনোটির নির্যাস মিশিয়ে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ তৈরি করে নিয়ে তাও লাগাতে পারেন। এতে উপকার পাবেন আরো বেশি।

৩. অনেক নারী-পুরুষের মধ্যেই চুল পড়ার হার অনেক বেশি দেখা যায়। এর মূল কারণই হলো- চুলে তেল ব্যবহারে গুরুত্ব না দেয়া। এক্ষেত্রে আমাদের দাদী-নানিদের আদ্যিকালের কিছু টোটকা ব্যবহার করে দেখুন।

চুলে নারকেল তেলের ব্যবহার শুধু প্রাচীন কিংবা সাধারণই নয়, চমৎকারীও। সপ্তাহে অন্তত একবার নারকেল তেলের সাথে লেবুর কয়েক ফোঁটা রস মিশিয়ে মাথার চামড়ায়-চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগান, অর্থাৎ ‘ম্যাসেজ’ করুন। রাতভর মাথায় তেল ও লেবুর রসের মিশ্রণটি রেখে পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪. রেঢ়ির তেল চেনেন? চোখ কপালে না তুলে এর ইংরেজি প্রতিশব্দটি শুনুন- ‘ক্যাস্টর অয়েল’। এবার পরিচিত লাগছে তো? চুলের জন্য জাদুকরী এই রেঢ়ির তেল চুলকে ঘন করার সাংঘাতিক কার্যকরী একটি উপায়।

কিন্তু এই তেল খুব ঘন হওয়ায় এটি সরাসরি চুলে লাগালে পরে তা ধুয়ে ফেলার সময় প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে। তাই এই তেলের সাথে অন্য যেকোনো তেল কিংবা কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত একবার চুলের গোড়ায় লাগান। দ্রুত ফলাফলের জন্য সম্ভব হলে প্রতিদিন বা একদিন-দু’দিন পরপর লাগালেও ক্ষতি নেই।

৫. মেথি বেটে এর সাথে খানিকটা পানি মিশিয়ে নিয়ে ঘন মিশ্রণটি সপ্তাহে একবার চুলের গোড়ায় ঘষুন। ফলাফল পাবেন খুব দ্রুতই।

চুলের সব ধরনের সমাধানের জন্যই কৃত্রিম কোনো পণ্য বা ওষুধের সাহায্য না নিয়ে যতোটা সম্ভব- প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল হোন। তাহলেই চুল ফিরে পাবে প্রাণ।

-ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন-
[ Source : Internet ]

Contact Us

Name

Email *

Message *

Time in Dhaka:

টেক-নলেজ

(টেক-নলেজ) এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা। বাংলায় বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি চর্চাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।