Latest Topics

কম্পিউটার সাইন্সের ভবিষ্যৎ চাহিদা কেমন?, ভবিষ্যৎ কেমন? এবং কম্পিউটার সাইন্স পড়াশোনা | 2018

কম্পিউটার সাইন্সের ভবিষ্যৎ চাহিদা কেমন ?

কম্পিউটার হল ভবিষ্যতে আমরা যা ই করতে যাব তার একটা অংশ। একুশ শতকে প্রত্যেকটা কাজে এটা ছাড়া চলা আসলেই অসম্ভব।
কম্পিউটিং আপনার নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহনে সহযোগিতা করবে। তাছাড়া স্কিল উন্নয়নে আপনার জীবনে কম্পিউটিং এর বিকল্প নেই।


ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস, বিনোদন এবং শিক্ষার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে কম্পিউটার সাইন্স বা IT  এর ব্যাপক ব্যবহার ছাড়া চলা অসম্ভব।
কম্পিউটিং আপনাকে অসাধারণ ক্যারিয়ার উপহার দিতে পারে। এখানে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ বেতনের এবং সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির ক্যারিয়ার। ভবিষ্যতে ব্যাপক উন্নয়নের কারিগর হতে পারেন এই পেশার মাধ্যমে।

শুধুমাত্র USA এর এক জরিপ দেখায়, IT ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কর্মকর্তার ব্যাপক অভাব। জরিপে আরও বলছে ভবিষ্যতে সবথেকে সম্ভবনাময় কর্মক্ষেত্র করা সম্ভব এই IT  সেক্টরে। তারা বলছে, এই সেক্টরে ট্যালেন্ট খুঁজছেন সবসময় তারা। তাহলে অন্যদেশের কথা আপনারাই ভাবুন-কি সুযোগ এই সেক্টরে।

তাছাড়া IT তে পড়াশোনা করে অন্য সেক্টরে কাজ করলেও ক্যারিয়ার  উন্নয়নে বেশি সুবিধা পাবেন অন্যদের থেকে। (গবেষণালব্ধ)
IT তে ক্রিয়েটিভ কাজ করার সুযোগ বেশি। আপনার পছন্দের ক্ষেত্রে পদচারনা করতে পারবেন ইচ্ছা মতো।

কম্পিউটিং এ দক্ষ হলে আপনি অফিসিয়ালি কাজ না করেও নিজস্ব কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারেন।
ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলে, IT সেক্টরে জবের আসলে কোন বাউন্ডারি নাই। আপনি আসলে বিচরন করতে পারেন পৃথিবীর সব সেক্টরে এই কমইউটিং এর মাধ্যমে।

তবে একটা কথা না বললেই নয়, আমাদের দেশে যারা কম্পিউটার সাইন্স পড়ছেন, তারা হয়তো নিজেদের বিশাল কিছু ভেবে বসি!!!

কিন্তু বাস্তব সত্য কথা হচ্ছে আপনার একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি যদি নিজেকে নিজের চেষ্টায় যেকোনো IT সেক্টরে দক্ষ না করতে পারেন, তাহলে হয়তো আপনি ভবিষ্যতে খুব বেশি বিপদে পড়তে পারেন, কর্মক্ষেত্রে যেয়ে।

কম্পিউটার সাইন্স পড়াশোনা :

কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে কারো কারো ধারণা এটার ভাত নেই। আর যারা কম্পিউটার সাইন্স সম্পর্কে একটু ধারনা রাখে, তাদের ধারনা এটা নিয়ে পড়লেই কোটি কোটি টাকা।

যাদের ধারণা এটার কোন ভাত নেই, আগে সে সম্পর্কে কিছু বলি। ঘুম থেকে উঠে মানুষ আগে পত্রিকা পড়ত। এখন পড়ে অনলাইন নিউজ পেপার। তা পড়ে কোন ট্যাবের মাধ্যমে, না হয় স্মার্টফোনের মাধ্যমে, না হয় ল্যাপটপে বা পিসিতে। যেখানেই পড়ে, সে গুলো আবার অনেক গুলো সফটওয়ার লাগে। যেমন মোবাইলের কথাই বলি, মোবাইলটি একটি অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে চলে। ঐটার ভেতরে একটি ব্রাউজার আছে যা দিয়ে পত্রিকা পড়া হয়। সব গুলোর জন্যই লিখতে হয়েছে অনেক গুলো প্রোগ্রাম, কোড। পত্রিকাটি ব্রাউজারে লোড হওয়ার পেছনে কাজ করে অনেক গুলো কোড। যে গুলো লিখেছে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়া কোন কোডার…

টিভি দেখতে গেলে এখনকার টিভি গুলো হচ্ছে স্মার্ট টিভি। সব গুলোই অনেক গুলো প্রোগ্রামে ভর্তি। ক্যামেরা গুলোও হচ্ছে স্মার্ট ক্যামেরা। অনেক গুলো প্রোগ্রামে পূর্ণ। হয়তো স্মার্ট কার আমাদের দেশে পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে, কিন্তু উন্নত দেশ গুলতে বর্তমানে তৈরি করা সব গুলো গাড়িই স্মার্ট কন্ট্রোল প্যানেল দিয়ে তৈরি। তৈরি হচ্ছে চালক বিহীন গাড়ি। যে গুলো নিয়ন্তন করবে সফটওয়ার দ্বারা।

হসপিটাল গেলে এনালগ কিছু চোখে পড়ে? সব কিছুই ডিজিটাল। সব কিছু। এমনকি কঠিন কঠিন অপারেশন করা হয় রোবটের সাহায্যে। যে গুলো চালনা করা হয় নিখুত সফটওয়ার দিয়ে। সামনে আরো ভালো ভাবে, আরো নিখুত ভাবে সব জায়গায় ব্যবহার হবে। আমি সব কিছু নিয়ে লিখতে গেলে কয়েক পৃষ্ঠা লিখতে পারব। সব কিছুই সফটওয়ার দিয়ে কন্ট্রোল হচ্ছে। এগুলো মাত্র শুরু হয়েছে। সামনে আরো কত কিছু বাকি রয়েছে।

Wearable Technology এসে সব কিছুই পালটে দেবে। আমরা যে পোশাকটি গায়ে দিব, সে গুলো হবে প্রোগ্রামেবল। যে চশমটা পরব তা প্রোগ্রামেবল। যে লেন্সটি চোখে দিব, তা প্রোগ্রামেবল। এমন আরো অনেক কিছু নিয়ে ধারণা নিতে makeit.intel.com ঘুরে আসতে পারেন। কারণ অলরেডি এসব তৈরি হয়ে গেছে। অনেক গীক এগুলো নিয়ে রাত দিন পার করে দিচ্ছে…

এগুলো সব গুলো সম্ভভ হয়েছে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়া একদল উৎসাহী মানুষের জন্য। সামনে আরো এগিয়ে যাবে। আরো নতুন কিছু দেখতে পাবো। এখনো যদি কেউ যদি মনে করে কম্পিউটার সাইন্স এর ভাত নেই, তাহলে নিশ্চই উনারা উনিশশতকের বাসিন্দা।

শীগ্রই মানুষের বেশিরভাগ কাজ কর্ম রোবট দখল করে নিবে। বেশির ভাগ জব করবে রোবটে। রোবট গুলোর দুইটা অংশ, হার্ডওয়ার, সফটওয়ার। যে প্রোগ্রামিং জানবে, সেই তো সফটওয়ার ডেভেলপ করতে পারবে, তাই না? হার্ডওয়ার গুলো ও কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়া কোন ইঞ্জিনিয়ার, কোন ডক্টরই তো ডেভেলপ করবে…

আবার যারা মনে করেণ কম্পিউটার সাইন্সে পড়লে কোটি কোটি টাকা, তেমন ও নয়।

এ পুরো ফিল্ডটাই হচ্ছে প্র্যাকটিক্যাল। সমস্যা সমাধাণ করা, কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করা, তা প্রয়োগ করা, হার্ডওয়ার এবং সফটওয়ার এক সাথে কম্বিনেশন করে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করিয়ে নেওয়া ইত্যাদি জানতে হয়। কম্পিউটার সাইন্সে যখন পড়বেন, তখন প্রথম প্রথম অনেক গুলো থিওরি পড়াবে… তারপর আপনাকে ঐ থিওরি গুলো কাজে লাগে নতুন কিছু করতে বলা হবে। এই নতুন কিছু করার জন্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানে পড়ানো বিষয় গুলোর পাশা পাশি অনেক কিছু জানতে হবে। রাত দিন প্র্যাকটিস করে যেতে হবে।

এটা এমন না যে আপনি কোথাও কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়তে গেলেন, শেষে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে বের হয়ে আসলেন। এমন যে আপনি নিজের স্কিল নিয়মিত আপডেট করতে হবে। আর তখন একসময় সত্যিকারে সফলতা পাওয়া যাবে। কম্পিউটার সাইন্সে কাজ করার জন্য লোক দরকার হলেও স্কিল বিহীন কোন লোক কোন কাজে আসবে না এ খানে।

সার্টিফিকেটের দরকার হলে দেশে অনেক গুলো ইউনিভার্সিটি রয়েছে, যেখানে কিছু টাকা দিলেই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। ঐ সার্টিফিকেট ধুয়ে পানি খাওয়া ছাড়া কোন কাজে আসবে বলে মনে হয় না।। কম্পিউটার সাইন্স সম্পর্কে জানতে হলে কোন প্রতিষ্ঠানের দরকার পড়ে না। ইন্টারনেটে সব তথ্যই রয়েছে। দরকার নিজে নিজে শিখে নেওয়া। রয়েছে অনেক গুলো কমিউনিটি। কোন সমস্যায় পড়লে সাহায্য করার মত অনেক এক্সপার্ট। কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে আপনার কি ধারণা তা মূখ্য নয়, আপনি কতটুকু জানেন এ বিষয় সম্পর্কে তাই মূখ্য। নিজের জানাটাকে কাজে লাগানোটাই প্রধান উদ্দেশ্য।। আর ভালো করে জানলে, ভালো করে তা প্রয়োগ করলে সত্যি সত্যি সফলতা হাতছানি দিবে…

আমরা নিজে নিজের সম্পর্কে যত জানি, গুগল, ফেসবুক আমাদের থেকে বেশি জানে। আমি রিলেশনে আছি কিনা, তা কাউকে না বললেও ফেসবুক তা বুঝতে পারে।


কোন এক সময় একটা অ্যাপ বা ওয়েব সাইট থাকবে, যে বলে দিবে, তুমি এটা করলে তোমার জীবন এরকম হবে। ঐ কাজ করলে তোমার জীবন ঐ রকম হবে। না না, এটা ম্যাজিক না, আবার জ্যোতিষশাস্ত্র ও না। প্রযুক্তি। হয়তো আপনি নিজেও এমন কিছু দেখে যেতে পারবেন। আর যদি দেখে যেতে পারি, দারুণ ভালো লাগবে… আর এগুলোর বেশির ভাগই সম্ভব হবে, কম্পিউটার সাইন্স এর মাধ্যমে। প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ডাটা সাইন্স এসবের কম্বিনেশনে… 

Contact Us

Name

Email *

Message *

Time in Dhaka: 11:41:19AM
Wednesday 02/04/25

টেক-নলেজ

(টেক-নলেজ) এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা। বাংলায় বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি চর্চাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।