ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং.. (অনলাইনে আয় করুন সহজেই)
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা আসলে কী বুঝি??? একটি
উদাহরন দিলে সহজেই বুঝতে পারবেন। মনে করুন আমাদের বাসার কিছু কাজ আছে, যা
আমরা নিজেরা করিনা। কাজের বুয়া দিয়ে করাই। বিনিময়ে আমরা তাকে পে করি।
আউটসোর্সিং অনেকটা এমন। আবার এর মধ্যে কিছু বুয়া আছে যারা পার্মানেন্ট কাজ
করে না। যাদেরকে বলি ছুটা বুয়া। আবার কিছু আছে পার্মানেন্ট কাজ করে, তাকে
আমরা বলি বান্ধা বুয়া। এমনি ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি
তাদের কাজটি কখনও স্থায়ী এমপ্লয়ি দিয়ে করায় আর কখনও খুঁজে নেয় কিছু
ফ্রিল্যান্সারদের। ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করানোর সুবিধা হচ্ছে, কাজদাতারা
সল্প খরচে মানসম্পন্ন কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেয়ে যায়। এতে খরচ
অনেক কমে যায়। অপরদিকে প্রচুর কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আউটসোর্সিং মুলত
হয় কিছু মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে। যেখানে অনেক ফ্রিল্যান্সারগন উনাদের
প্রোফাইল নিয়ে কাজের অপেক্ষায় থাকেন। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, আমরা যখন
কোন বাজারে যাই, তখন অনেক বিক্রেতা তাদের পণ্য নিয়ে অপেক্ষা করে। আমরা
দেখে শুনে যেটা ভালো হয় সেটা কিনি।
মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে
1. www.oDesk.com
2. www.Freelancer.com
3. www.vWorker.com
4. www.Elance.com
5. www.GetACoder.com
6. www.ScriptLance.com
7. www.ThemeForest.net
8. www.GraphicRiver.net
9. www.ActiveDen.net
আরও বিস্তারিত জানার জন্য কিছু সাইট
www.freelancerstory.com
www.bdosn.com
www.earntricks.com
এই সাইট গুলো থেকে বিভিন্ন রকম পি.ডি.এফ. ফাইলসহ প্রচুর তথ্য ডাউনলোড করতে পারবেন।
একটা কথা মনে রাখা জরুরী, আউটসোর্সিং করতে হলে যে আপনাকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে এমন কিছু নয়, হতে পারে আপনি ভালো আর্টিকেল বা প্রিভিউ লেখেন বা ভালো অনুবাদক বা আপনি যদি ভালো গ্রাফিক্স জানেন, বা খুব ভালো MS OFFICE এর কাজও পারেন তবেও চলবে। অন্তত কোন একটা কাজে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। আর সাথে কিছু কম্পিটারের সাধারন জ্ঞান থাকলেই আউটসোর্সিং শুরু করা যায়।
কার্টেসিঃ আলইমরান।