আমাদের দেশে বর্তমানে আউটসোরসিং নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি চলছে। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রিরা বিশাল আয়ের আশায় আউটসোরসিং নিয়ে বেস্ত। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে অনেক সুযোগসন্ধানী। রাতারাতি বড়লোক হবার বাহারি বিজ্ঞাপন। আমি অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যেখানে লেখা খুব সহজে মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করুন বাহ টাকা কি গাছে ধরে নাকি বাপের গোলা থেকে দিবে ?? প্রতারিত ও হচ্ছেন অনেকে। এটা কোন সহজ কাজ নয়। এখানে আপনার দক্ষতার পাশাপাশি যোগ্যতাও প্রমাণ করতে হবে। আরও কয়েকটি গুন আপনার থাকতে হবে যেমন, পরিশ্রম করার মন মানসিকতা, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্যশীলতা এবং সততা। তাহলেই ভালো করা সম্ভব এবং সর্বপরি আয় করা সম্ভব। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং যতটা না কায়িক পরিশ্রমের কাজ তার চেয়ে বেশি বুদ্ধিদীপ্ত কাজ। আর এটা করতে যে ওডেস্ক,ফ্রিল্যান্স বা ই- ল্যান্স এ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি যেকোনো ভাবে কাজ খুজে নিতে পারলেই হল। আমাকে অনেকে বলে তুমি তো আউটসোরসিং করতে পারো। হুম পারি কিন্তু করি না।
অনেকে আউটসোর্সিং ও অনলাইনে আয় বিষয় দুটোকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ ইন-হাউজ না করে বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন তখন তাঁকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটা মূলত ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের আউটসোর্সিং। ব্যবসায়িকভাবে আউটসোর্সিং সার্ভিসের শিল্পটা এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এটা ঠিক আউটসোর্সিং সার্ভিস দেয় এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে এবং দিন দিন এটি বাড়ছে।
কষ্টের বেপার হল আমাদের দেশে অনলাইনে উপার্জন আরও অনেক বেশি করা যেত। কিন্তু হচ্ছে না কারন আমাদের দেশের ৫০% হচ্ছে মেয়ে। যাদের কাছে আউটসোর্সিং,অনলাইনে আয় এগুলোর জন্য কন সময় নেই, যেখানে তৃতীয় বিশ্বে মেয়েরা এগিয়ে। তবে সুখের সংবাদ হল আপওয়ার্ক-ইল্যান্স এর মে ২০১৫ এ তাদের রিপোর্টে বলছে তাদের মার্কেটপ্লেসে যে ফ্রিল্যান্সারা কাজ কাজ করে আয় করছে তাদের মধ্যে র্শীষ ১০টা দেশ হচ্ছে: আমেরিকা, ফিলিপাইন, রাশিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, রোমানিয়া, ভারত, ইউক্রেন, পাকিস্থান এবং কানাডা। তার মানে আমরা ৪র্থ স্থানে। এটা খুব গর্বের এবং সত্যিই গর্বের ।
যারা অনলাইনে আয় করে অথবা আউটসোরসিং করে তারাই ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্স কোন আলাদা কাজ নয় ফ্রিল্যান্সিং করা হল কাজ। আমাদের দেশে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের। যেমন -ধিরগতির ব্যান্ডউইথ/ইন্টারনেট,দক্ষতা,ইংরেজি কম পারা আর আনুপ্রেরনা। আউটসোর্সিং করে উন্নত দেশের ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার খরচ অনেক কমিয়ে নিচ্ছেন। কতটা কমছে তার একটা ধারনা দেই, আমেরিকায় একজন সার্চ ইঞ্জিনঅপটিমাইজেশন (এসইও) পেশাজীবির গড় বেতন ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু বাংলাদেশী কোন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে এই কাজটি দেড় থেকে ২ হাজার ডলার দিয়ে করিয়ে নেয়া সম্ভব। এখন হিসাব করুন কি পরিমাণ খরচ কমে যাচ্ছে আউটসোর্সিংয়ের ফলে। এত সমস্যার মাঝেও আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি আউটসোর্সিংয়ে।
কষ্টের বেপার হল আমাদের দেশে অনলাইনে উপার্জন আরও অনেক বেশি করা যেত। কিন্তু হচ্ছে না কারন আমাদের দেশের ৫০% হচ্ছে মেয়ে। যাদের কাছে আউটসোর্সিং,অনলাইনে আয় এগুলোর জন্য কন সময় নেই, যেখানে তৃতীয় বিশ্বে মেয়েরা এগিয়ে। তবে সুখের সংবাদ হল আপওয়ার্ক-ইল্যান্স এর মে ২০১৫ এ তাদের রিপোর্টে বলছে তাদের মার্কেটপ্লেসে যে ফ্রিল্যান্সারা কাজ কাজ করে আয় করছে তাদের মধ্যে র্শীষ ১০টা দেশ হচ্ছে: আমেরিকা, ফিলিপাইন, রাশিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, রোমানিয়া, ভারত, ইউক্রেন, পাকিস্থান এবং কানাডা। তার মানে আমরা ৪র্থ স্থানে। এটা খুব গর্বের এবং সত্যিই গর্বের ।
যারা অনলাইনে আয় করে অথবা আউটসোরসিং করে তারাই ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্স কোন আলাদা কাজ নয় ফ্রিল্যান্সিং করা হল কাজ। আমাদের দেশে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের। যেমন -ধিরগতির ব্যান্ডউইথ/ইন্টারনেট,দক্ষতা,ইংরেজি কম পারা আর আনুপ্রেরনা। আউটসোর্সিং করে উন্নত দেশের ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার খরচ অনেক কমিয়ে নিচ্ছেন। কতটা কমছে তার একটা ধারনা দেই, আমেরিকায় একজন সার্চ ইঞ্জিনঅপটিমাইজেশন (এসইও) পেশাজীবির গড় বেতন ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু বাংলাদেশী কোন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে এই কাজটি দেড় থেকে ২ হাজার ডলার দিয়ে করিয়ে নেয়া সম্ভব। এখন হিসাব করুন কি পরিমাণ খরচ কমে যাচ্ছে আউটসোর্সিংয়ের ফলে। এত সমস্যার মাঝেও আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি আউটসোর্সিংয়ে।