অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের সাফল্যের কথা কার না জানা। অ্যাপলের মতো একটি সফল প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো খুব একটি সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু স্টিভ জবস তার জীবদ্দশায় এই কাজটিকেই সম্ভব করে গিয়েছেন। আর এ কারণেই তার মৃত্যুর পরও এখনও প্রযুক্তি বিশ্ব তাকে আগের মতোই স্মরণ করে।
প্রায় সব বিষয়ই তিনি দেখতেন গভীরভাবে। আর এই গভীর পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন যা সবাইকেই যুগিয়েছে উৎসাহ এবং তার মৃত্যুর পরও তার এই উক্তিগুলো সমানভাবে সবাইকে উৎসাহ জুগিয়ে আসছে।
আজ স্টিভ জবসের এমনই কয়েকটি উক্তি প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১. সৃজনশীলতা হলো একটা কিছুর সাথে অন্য কিছুর সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা। আপনি যদি সৃজনশীল কাউকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে তারা কোন কাজ করে, তাহলে তারা নিজেকে কিছুটা অপরাধী মনে করে। কারণ প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরা সেটি করেনি, তারা কেবলমাত্র সেটি গভীরভাবে দেখেছে। আর কিছু সময় পর সেই কাজটি করা তাদের জন্য অবধারিত হয়ে গেছে।
২. একটি নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী গোষ্ঠীকে ফোকাস করে পণ্যের ডিজাইন করা সত্যিই কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না তারা কী চান যতক্ষণ না তাদের সামনে একটি পণ্য হাজির করা হয়।
৩. আপনাকেও পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে, এমন চিন্তাই কেবল পারে কোন কিছু হারানোর দুশ্চিন্তা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে বলে আমার কাছে মনে হয়।
৪. আপনার জীবনের একটি বড় অংশ জুড়েই থাকবে আপনার কর্ম এবং যে কাজটি নিজের কাছে সেরা বলে মনে হয়, সেই কাজটি করতে পারাই হলো আত্মতুষ্টির একমাত্র উপায়।
৫. গোরস্থানে সবচেয়ে ধনী হয়ে থাকার ব্যাপারটি আমার কাছে তেমন কিছুই মনে হয় না…রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় এটা ভেবে ঘুমানো উচিত যে আমরা দারুণ কিছু করতে পেরেছি…এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।
৬. অ্যাপল থেকে চাকুরীচ্যুত হওয়ার ঘটনা ছিল আমার জীবনে ঘটে যাওয়া শ্রেষ্ঠ ঘটনা। আমার জীবনের সেরা একটি সময়ে প্রবেশের পথ করে দিয়েছিল এই ঘটনাটি।
৭. অনেক কিছু করার জন্য যেমন আমি গর্বিত, তেমনি অনেক কিছু না করার জন্যও আমি গর্বিত। উদ্ভাবন মানেই হলো হাজারটা জিনিসকে ‘না’ বলা।
৮. আমি মনে করি, আপনি যদি কোন কাজ করেন এবং সেটি যদি সত্যিই ভালো কিছু হয়, তাহলে আপনার উচিত হবে আরও দারুণ কিছু করার জন্য কাজ শুরু করে দেওয়া, আগেরটি নিয়ে পড়ে থাকার দরকার নেই। শুধু ভাবুন যে এরপর কী করা যায়।
৯. আমার বয়স যখন ১৭ বছর, তখন আমি একটি লেখা পড়েছিলাম যাতে ছিল, “আপনি যদি প্রতিটি দিনকেই জীবনের শেষ দিন মনে করেন, তাহলে আপনি একদিন সত্যি সত্যিই নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে পারবেন।” এই কথাটি আমার মনে দাগ কেটেছিল। আর এরপর থেকেই গত ৩৩ বছর ধরে প্রতি সকালে আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞাসা করতাম, আজই যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে কি আমি সেই কাজগুলোই করতাম যেগুলো আমি আজ করতে চেয়েছি? নিজেকে করার এই প্রশ্নের জবাবে যদি একটানা কয়েকদিন ‘না’ উত্তর শুনতাম, তাহলেই ধরে নিতাম যে কিছু ব্যাপার পরিবর্তনের সময় এসেছে।
১০. আমি এটা ভেবেই সন্তুষ্ট যে সফল উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ উদ্যোক্তাদের থেকে যা আলাদা করেছে, তার অর্ধেকই হলো অধ্যবসায়।